ই-বুক বা ইলেক্ট্রনিক বই নিয়ে কিছু কথা

বই পড়া আমাদের জন্য আবশ্যিক একটি ব্যাপার। বই পড়তেই হবে। যে পড়ে সে ই জানেন, না পড়লে কেমন লাগে। দিনটি কেমন পঁচা লাগে। রাতে ঘুম হয় না। পড়তে ভাল লাগে। ভাবতে ভাল লাগে, লাগে না কার বলুন তো? পড়ার জন্য কাগজে বই পুস্তকের কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। কাগজের মলাটের ভিতরে স্বাদ খুঁজে পেতে গল্প, কবিতা আর উপন্যাসের সন্ধ্যানে পাঠকের ভীড় জমে। ই-বুক নিয়ে আজকের আলোচনা।

অনেক আগে, যখন কাগজ ছিলো না। তখন চামড়া, কাঠ আর পাথরে লিখা হতো দরকারী সব কথা, চিঠি কিংবা লিপি। গদ্য পদ্য ও লিখা হতো। তখন এত আধুনীক ছাপাখানা ছিলো না। দেখতে দেখতে শিল্প বিপ্লব শুরু হয়ে কাগজের বিকাশ হলো। কাগজের নানা রঙ এলো। কাগজের কত যে কোয়ালিটি আছে? সব মিলিয়ে কাগজের মধ্যে ছবি, কথা, গদ্য পদ্য এবং সব কিছু আগের চেয়েও আধুনীক আর পরিপূর্নতায় বর্ননা করা শুরু হলো।

সে যুগের পত্তন হয়েছিলো, এখনো চলছে। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ এসেছে। ই-বুক বা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বই, কিংবা প্রকাশনা দিন দিন বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এখনো অনেক অফিসে কাগজের প্রিন্ট করা নিষেধ। পয়সা খরচ করে কাগজের থেকে যদি একটি ডিভাইসে কাজ হয়ে যায় তাতে অনেক লাভ।

ইতিমধ্যেই হয়ত জেনে গেছেন যে অনেক পত্রিকা তাদের কাগজের সংস্করণ বন্ধ ঘোষনা করেছেন। চালু করেছেন আরো ব্যাপক পরিসরে অনলাইন সংস্করণ। এভাবেই দিন দিন কাগজের ব্যবহার থেকে সরে যাচ্ছে সারা পৃথিবী। কাগজের দাম শুনলেও আপনি অবাক হবেন। আগে যে বইয়ের মূল্য ত্রিশ টাকা রাখা যেত এখন সেই একই সাইজের বইয়ের মূল্যই রাখতে হয় একশত টাকা। এত বেশি দামে বই কিনলে পাঠক পিছিয়ে না পড়ে উপায় কী? সেই বই যদি আরো কিছু কমে বিক্রি করা যায়? পাঠকের জন্য সুবিধা, লেখকের জন্য সুবিধা।

ই-বুক বহন করা নিয়ে কোন ঝামেলাই নেই। যখন তখন ডাউনলোড করা যায়। তাই দুঃশ্চিন্তা মুক্ত। আমাদের সাথে ই-বুক কিনলে আপনি যতবার ইচ্ছে ডাউনলোড করতে পারবেন। তাই কোন ডিভাইস বা যন্ত্র হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলেও চিন্তা নেই।

হাতে হাতে স্মার্ট ফোন থেকে যদি সবাই বই পড়ার অভ্যাস না করতে পারেন তবে তা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আমাদের হাতে হাতে থাকুক ইলেক্ট্রনিক বই, ই-বুক। মেতে উঠি বইয়ের উল্যাসে।

Leave a comment